ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রিপাবলিকান দলে যোগ দিলেই নারীরা আরও 'হট' হয়ে যায়: ফক্স নিউজের হোস্ট আমদানির অনুমতিতেই দাম কমছে পেঁয়াজের, দাবি কৃষি উপদেষ্টার ভোটের দায়িত্ব পাচ্ছেন না বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তারা এবার কারিনাকে স্ত্রী দাবি, তুমুল বিতর্কে পাকিস্তানি মুফতি নচিকেতা হাসপাতালে ভর্তি এনসিপিসহ তিন দলের নতুন জোটের ঘোষণা বিকেলে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জনজীবনে স্থবিরতা সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা-রংপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তি স্থাপন আজ, নিরাপত্তা জোরদার খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার তারিখ আরও পেছাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন; ২৭ বছর পর শেষ হচ্ছে সে যাত্রা ১০ দিনের আলটিমেটাম সরকারি কর্মচারীদের ছেলেসহ সন্তানসম্ভবা সোনালীকে ফেরত নিল ভারত, স্বামীকে ‘না ছাত্রশক্তির নেত্রী জেদনীকে বিয়ে করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ অবিস্মরণীয় একটি দিন ৬ ডিসেম্বর: তারেক রহমান অবশেষে জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরির প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের দাপট, টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে

মুহূর্তেই ধসে পড়ে তিন মসজিদ, মারা যান জুমাতুল বিদায় আসা শত শত মুসল্লি

  • আপলোড সময় : ০২-০৪-২০২৫ ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৪-২০২৫ ০১:০৭:৪১ অপরাহ্ন
মুহূর্তেই ধসে পড়ে তিন মসজিদ, মারা যান জুমাতুল বিদায় আসা শত শত মুসল্লি
গত শুক্রবার রমজানের শেষ জুমার নামাজের জন্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের শত শত মুসল্লি মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। ঈদের আনন্দের আগে এটাই ছিল তাদের শেষ জুমা। কিন্তু দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো এলাকা কাঁপিয়ে তোলে। মুহূর্তের মধ্যেই তিনটি মসজিদ ধসে পড়ে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় মসজিদ মিয়োমা পুরোপুরি ভেঙে যায়। মসজিদের ভেতরে যারা ছিলেন, তাদের প্রায় সবাই মারা যান।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তবে উদ্ধারকাজ চলার কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।সাগাইংয়ের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল মিয়োমা স্ট্রিট, যেখানে একাধিক মসজিদ অবস্থিত। দেশটির সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, শুধু মসজিদের ভেতরেই প্রায় ৫০০ জন মুসল্লি মারা গেছেন।ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। অনেকেই রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন, কারণ তাদের বাড়িঘর ধসে পড়েছে বা নতুন কোনো ভূমিকম্পের আশঙ্কায় তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।



মিয়োমা মসজিদের সাবেক ইমাম সো নে উ এখন থাইল্যান্ডের মায় সোত শহরে বসবাস করেন। ভূমিকম্পের সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি জানতে পারেন তার পরিবার, বন্ধু ও সাবেক মসজিদের প্রায় ১৭০ জন মানুষ মারা গেছেন।‘আমি যখন তাদের কথা ভাবি, বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের কথা, তখন আমি কান্না থামাতে পারি না,’ বললেন তিনি। তার স্ত্রী’র প্রিয় এক আত্মীয় মারা গেছেন। তার কথায়, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মুহূর্ত।’ 



মৃতদেহ দাফন করাও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাগাইংয়ের মুসলিম কবরস্থান কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, কারণ এটি প্রতিরোধ বাহিনীর (PDF) নিয়ন্ত্রিত এলাকার পাশে অবস্থিত। এই কারণে মৃতদেহগুলো মাণ্ডালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যা ইরাওয়াদি নদীর ওপারে অবস্থিত। অনেকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রিয়জনদের দাফন করতেও পারছেন না।সো নে উ বলেন, ‘একজন মুসলিমের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, নিজের পরিবারের সদস্যদের নিজ হাতে দাফন করতে না পারা।’ 



ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হাজারেরও বেশি মুসলিম পরিবার এখন সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। অনেকে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দিন পার করছেন।সো নে উ বর্তমানে থাইল্যান্ড থেকে উদ্ধার ও সহায়তার কাজ সমন্বয় করছেন। কিন্তু তিনি নিজে সেখানে থাকতে না পারার কষ্ট অনুভব করছেন।‘যদি আমি এখনো ইমাম থাকতাম, তাহলে আমি হয়তো তাদের সঙ্গে মারা যেতাম—তা হলে অন্তত শান্তি পেতাম। কিন্তু এখন আমি কিছুই করতে পারছি না। এটা অসহ্য কষ্টের।’ এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সো নে উ। ‘আমি জীবনে কখনো এতটা ভেঙে পড়িনি। আমি সাধারণত খুব কঠিন মানুষ, কিন্তু এখন আর ঘুমাতেও পারছি না।’ভবিষ্যতে কী হবে, তা কেউ জানে না। কিন্তু যারা বেঁচে আছেন, তারা এখনো শোকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, অপেক্ষা করছেন আরও সাহায্যের জন্য।

সূত্র: বিবিসি

কমেন্ট বক্স
রিপাবলিকান দলে যোগ দিলেই নারীরা আরও 'হট' হয়ে যায়: ফক্স নিউজের হোস্ট

রিপাবলিকান দলে যোগ দিলেই নারীরা আরও 'হট' হয়ে যায়: ফক্স নিউজের হোস্ট